সাপ্লিমেন্ট কী?

সাপ্লিমেন্ট হলো এমন কিছু পুষ্টি উপাদান যা খাদ্যকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এবং খাদ্যের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার জন্য খাদ্যে বাইরে থেকে যোগ করা হয় অথবা শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার জন্য মেডিসিন রুপেও গ্রহণ করা হয়।

পুষ্টি উপাদান কখনো ১টি অথবা কখনো একাধিক মিশ্রণেরও হতে পারে। যেমনঃ

১।ভিটামিন’স
২।মিনারেল’স
৩।এমাইনো এসিড ইত্যাদি।

ডায়াটারি সাপ্লিমেন্ট অনেক আকারে পাওয়া যেতে পারে- ক্যাপসুল, ট্যাবলেট, নরম জেল, তরল অথবা পাউডার। এই সাপ্লিমেন্ট গুলো যেমন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে, অন্য দিকে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

সাপ্লিমেন্ট শব্দটার সাথে এখন আমরা ভালোই পরিচিত। আদতে আমরা যা খাই তা থেকেই সব রকমের ভিটামিন, মিনারেল পাওয়া উচিত। কিন্তু তার থেকে এখন কম খাবারে কতো টুকু পুষ্টি আছে বা কতোটুকু ভেজাল আছে সেটা আলোচনা করাই বোধ হয় সহজ। ফল ও সবজিতে পেস্টিসাইড ছড়নো, সয়েল কন্ডিশন খারাপ, স্টোরেজ এর সমস্যা তো আছেই। এমন কী আমরা যেভাবে রান্না করি , প্রিজারভেটিভ মিশাই, তাতেও খাদ্যগুন অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। অগত্যা আমাদের ভরসা সাপ্লিমেন্ট।

খাবার থেকে যে পুষ্টি আমাদের পাওয়া উচিত কিন্তু আমরা পাইনা, সাপ্লিমেন্ট আমাদের সেটাই পূরণ করে। আমাদের লাইফ স্টাইল এখন এতটা যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছে যে খাওয়া দাওয়া নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে আমরা অভ্যস্থ নই। কী খেতে ভালো লাগে বা লাগেনা তা জানি কিন্তু খাবার টা কোথা থেকে আসলো , কীভাবে স্টোরেজ করা ছিল , রান্নার সময় ভালো ভাবে রান্না করেছিলো কিনা এসব খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ভাবার সময় কই?? সব মিলিয়ে যা হলো পেট ভরল কিন্তু পুষ্টি বাকি থেকে গেল। এখন এরকম জীবন ব্যাবস্থায় সাপ্লিমেন্ট কতটা জরুরী তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না।

তবে অনেকের ধারনা সাপ্লিমেন্ট খাওয়া নাকি ভালোনা, প্রচুর পার্শ্বপতিক্রিয়া আছে। আমরা যে জীবন ব্যাবস্থায় আছি তার পার্শ্বপতিক্রিয়াই বা কী কম?? মাথাব্যথা, পেটেব্যথা, এলার্জি এসব এরই তো ফল। তাই শুধু সাপ্লিমেন্ট কে দোষী বললেই হবে না। হ্যা, এটা ঠিক যে সাপ্লিমেন্টস কোনও খাবারের নিজস্ব গুনকে রিপ্লেস করতে পারেনা। কিন্তু যদি আপনাদের বেস ডায়েট ঠিক থাকে, নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে সাপ্লিমেন্টস ভালো ফল দেয়।

কিছু ফুড সাপ্লিমেন্ট আছে যেগুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল, হেলথ্‌ ড্রিংক ইত্যাদি। আপনার শরীরের ঘাটতির কথা চিন্তা করে এগুলো গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে এগুলো গ্রহণে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করা উচিত।

ভিটামিন এ, ই, ডি, সি, জিঙ্ক, ক্রমিউয়াম, ক্যালসিয়াম এর মতো মিনারেলস সাপ্লিমেন্ট আমাদের নিয়মিত দরকার। হার্টএটাক এর পর ভিট-ই খেয়ে বা ফ্র্যাকচার এর পর ক্যলসিয়াম খেয়ে লাভ কী?? এগুলো কিউরাটিভ নয় প্রিভেন্টিভ মেডিসিন হিসেবে নেয়া উচিত। রিকভার করার জন্য ভালো হলে ডেমেজ প্রিভেন্ট এ কতটা কাজ করবে ভেবে দেখুন। সুস্থ থাকার জন্য তাই সাপ্লিমেন্টস খাওয়া ক্ষতিকর নয়। আমাদের ডায়েট এ যা বাদ থেকে যায় আদতে কিন্তু সাপ্লিমেন্টস দ্বারা তাই পূরণ করা হয় তাই সাপ্লিমেন্টস নিয়ে ভুল ধারনা করে বসে থাকবেন না। try it to believe it .

(পরীক্ষিত, সার্টিফাইড ও ক্লিনিক্যালি এপ্রুভড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন – নিরাপদ থাকুন)
(সংগৃহিত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *